মাকে কথা দিয়েছিল ‘ঈদে বাড়ি আসবে বাদল’

নিজস্ব প্রতিবেদক :: গত শনিবার (২৭ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের যুবক বাদল মিয়া (২৬) ওই দিন দুপুর দেড়টার দিকে তাঁর মায়ের সাথে ফোনে শেষবারের মতো কথা বলে। এসময় বাদল মাকে বলে, ‘বৈশাখীতে আসতে পারবো না। টাকা পাঠিয়ে দিবো, জমির ধান কাটিয়ে নিও’। মা বাদলকে বাড়িতে আসার জন্য অনুনয় করাতে বাদল কথা দিয়েছিল, ঈদুল ফিতরে বাড়ি আসবে।
কথাগুলো জানান নিহত বাদল মিয়ার পিতা দাবির মিয়া। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, আমার পুতের বাড়িতে ফেরা হলো না।
এদিকে নিহত বাদল মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নিহত বাদল মিয়ার নিজগ্রাম দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের লৌলারচর মাঠে জানাযা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এরআগে সকালে বাদল মিয়ার লাশ নিয়ে দিরাই পৌর সদরে এসে পৌঁছালে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মীরা একনজর দেখতে জড়ো হন।
নিহতের পিতা জানান, দুই ছেলের মাঝে বড় ছেলে বাদল মিয়া প্রায় তিনবছর ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পলিথিন ফ্যাক্টরীতে চাকুরীরত ছিল। শনিবার দুপুরে মোবাইলে কল দিয়ে মিছিলে যাওয়ার খবর জানিয়ে ছিল। রাতে খবর পেয়েছেন তার ছেলে পুলিশের গুলিতে মারা গেছে। রাতেই বাড়ি থেকে রওয়ানা দিয়ে তিনটার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে থেকে মৃতদেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য যাত্রা করেন। সকাল দশটায় গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেন। সকাল ১১ টায় নিহত বাদলের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা তার গর্ভধারিনী মা ভাই বোন ও স্বজনের আর্তনাদ করছেন। সেখানে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে ।