দিরাইয়ে দ্রুত ধান কর্তন নিয়ে মতবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় এ বছর ৪৫০ কোটি টাকার অধিক ফসল উৎপাদন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। গতকাল রবিবার উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন ও বাস্তবায়ন কমিটি আয়োজিত উপজেলার নয়টি হাওরে বোরো ধান দ্রুত কর্তন নিয়ে কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহনে মতবিনিময় কালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও ইউএনও মাহমুদুর রহমান মামুনের সভপতিত্বে এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহিন আলমের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা কৃষি অফিসার আবু মো: মনিরুজ্জামান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: স্বাধীন কুমার দাস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিপা সিনহা, ইউপি চেয়ারম্যান শিবলী আহমদ বেগ, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লিটন, ভাটিবাংলা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি প্রশান্ত সাগর দাস, উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক তাজুল ইসলাম, কৃষক প্রতিনিধি শ্রীবাস দেবনাথ ও মেটাল এগ্রো লিমিটিডের প্রতিনিধি ফাহিম মুনতাসিম প্রমুখ। উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন ও বাস্তবায়ন কমিটির সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, এক ফসলী শতকরা ৮৯ ভাগ হাওর বেষ্টিত এই উপজেলায় এ বছর ৩০ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় ৮ ভাগ বেশি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর এক লাখ ২৭ হাজার ৬৬৩ মেট্রিক টন চাল যার আনুমানিক মুল্য ৪৫০ কোটি টাকার অধিক উৎপাদন হবে বলে আশা করা যায়। ধান দ্রুত কর্তনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন ৫টি হারভেষ্টার বিতরণ উদ্বোধনের পর এখন পর্যন্ত ২০টি হারভেস্টার মাঠে রয়েছে। আরও ১০টি হারভেস্টার মাঠে কাজ করবে। এ বছর উপজেলায় ৩০টি হারভেস্টার বরাদ্দের জন্য অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়াও বিগত বছরের ২৫টি ও ভাড়ায় ৫টি যন্ত্র মাঠে রয়েছে, প্রতিদিন ২০০ হেক্টরের বেশি জমি যান্ত্রিক পদ্ধতিতে কর্তন হবে। উপজেলার এ বছর মোট ২২হাজার ৭০৮জন কৃষি শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে। যার মধ্যে ১২ হাজার ৭০৮জন স্থানীয় কৃষি শ্রমিক রয়েছেন। ৭০ হারভেস্টারের সমমান ৫ হাজার৪০ যান্ত্রিক শ্রমিক। ৩হাজার৬৭৬ জন বহিরাগত ব্যাপারী শ্রমিক ইতিমধ্যে আসা নিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে ৪২৩জন ব্যাপারী শ্রমিক ২১টি দলে মাঠে কাজ করছেন,তাদের আসা, থাকা ও স্বাস্থ্যসেবা বিষয়টি কমিটির তত্ত্বাবধানে রয়েছে যা প্রতিনিয়ত হালনাগাদ হচ্ছে। এ বছর কোন শ্রমিক সংকট নেই উল্লেখ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, আপদকালীন প্রস্তুতি হিসেবে ৭ হাজার ৫০০জন পারিবারিক কৃষি শ্রমিক, আধাসরকারি, স্বেচ্ছাসেবী, কৃষক সংগঠনের ৪ হাজার ৭০০ জনসহ রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও স্থানীয় প্রায় ৩৮হাজার ৪৬০জন এই বৈশাখী উৎসব করার জন্য প্রস্তুত।