দক্ষিণ সুনামগঞ্জে বসত ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক :: গত ২২ জুন স্থানীয় একটি নিউজ পোর্টালে ‘দক্ষিণ সুনামগঞ্জে পুর্ব শত্রুতার জেরে বসত ঘরে আগুন’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কাউয়াজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ওমর ফারুক।
প্রকাশিত ওই সংবাদে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের জিয়া উদ্দিনের বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়, ওমর ফারুকের সাথে গ্রাম্য বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে জিয়া উদ্দিনের বিরোধ থাকায় গত রবিবার (২০ জুন) ওমর ফারুক তার সহযোগীদের নিয়ে জিয়া উদ্দিনের বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে ঘরে থাকা আসবাবপত্র ও নগদ ৩০ হাজার টাকা আগুনে পুড়ে জিয়া উদ্দিনের দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয় বলে সংবাদে বলা হয়।
প্রকাশিত সংবাদটিকে সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জানিয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওমর ফারুক। তিনি বলেন, আমি বিগত দুই মাস যাবত শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে সিলেটে থেকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, গ্রামের মতিন মিয়া, মাছুম, শেলন মিয়া গং আমাদের লোকজনকে বছরের পর বছর বিভিন্নভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। মতিন মিয়া একজন দুর্ধর্ষ ডাকাত। সে নেত্রকোনা জেলার কালিয়াজুড়ি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতির একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। প্রায় ১৫ দিন আগে মতিন মিয়ার নেতৃত্বে তাঁর লোকজন আমার চাচা যুক্তরাজ্য প্রবাসী আছকির মিয়া ওরফে কাচা মিয়ার বসত বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় আমরা দিরাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। প্রায় সপ্তাহখানেক আগে আমার উক্ত চাচার গৃহকর্মী কামাল মিয়া জগদল গ্রাম থেকে চাচার দুই লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পথিমধ্যে মতিন মিয়া ও তার লোকেরা বেধরক মারধর করে আহত করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায়ও আমরা দিরাই থানায় অভিযোগ দিয়েছি। মতিন মিয়া ও তার লোকেরা গত সোমবার আমাদের একটি গস্তি নৌকা ছিনিয়ে নিতে হামলা করে। নৌকার যাত্রী ও এলাকার লোকজনের হস্তক্ষেপে নৌকা উদ্ধার হয়। তাদের এসব অপকর্ম ঢাকতে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মতিনের পক্ষের লোক জিয়া উদ্দিনের একটি পরিত্যক্ত চাফটা ঘরের বেড়ায় নিজেরাই আগুন দিয়ে আমাদের হয়রানি করার পায়তারা করছে। ঘটনার সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উন্মোচন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান ওমর ফারুক।