শাল্লায় তদন্ত কমিটির পরিদর্শন
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
শাল্লা থানায় এসআই শাহ আলীর উপর হামলার ঘটনার পরবর্তীতে মামলা দায়ের, হামলাকারীদের গ্রেফতার, হামলার সাথে ওসি নুর আলমের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে প্রত্যাহার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাল্টাপাল্টি অডিও ভিডিও প্রকাশ, পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দফায় দফায় তদন্ত। সবমিলিয়ে এখনও সরগরম শাল্লা। আলোচিত এ হামলার ঘটনায় পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে ভাবিয়ে তুলেছে।শনিবার (১৪ আগস্ট) সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব বিজয় তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি শাল্লায় এসে দিনভর তদন্ত কাজ করেন। তদন্ত শেষে তদন্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মন্তব্য না করলেও শাল্লায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখতে সকলকে আহবান জানান অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব বিজয় তালুকদার।
এসময় কমিটির অন্য দুই সদস্য সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা ও সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হায়াতুন নবী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এসআই শাহ আলী হত্যা চেষ্টায় হামলার ঘটনাটিকে ভিন্ন দিকে মোড় দিতে স্থানীয় নৌকার মাঝি মনির হোসেনকে নিয়ে নতুন নাটক সাজান ওসি নুর আলম। মদ গাঁজা দিয়ে ফাঁসিয়ে সারা জীবন জেলের ভয় দেখিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে মনিরকে বাধ্য করেন তিনি। তার এ কাজে সহযোগিতা করেন স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মী সহ বেশ ক’জন। এসআই শাহ আলী মনিরের নৌকায় পা পিছলে আহত হয়েছেন জানিয়ে গত শুক্রবার মাঝি মনির হোসেনের বরাত দিয়ে দু’একটি স্থানীয় নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর শনিবার ওসি নুর আলমের হুমকিতে আত্মগোপনে থাকা মাঝি মনির হোসেন ভিডিও এবং অডিও বক্তব্যে ওসি নুর আলমের হুমকিতে ভীত হয়ে এমন কথা বলেছেন বলে জানান। অডিও ক্লিপে মনির হোসেন বলেন, গত বুধবার দিবাগত রাতে ওসি নুর আলম আমাকে ফোন দিয়ে বলেন ‘ তার কিছু লোক আমার কাছে আসবে। তারা যা বলে আমি যেন তা করি। এরপর স্থানীয় এক সাংবাদিক সহ ৫/৬ জন লোক আমাকে নিয়ে আনন্দপুরের একটি বাড়িতে যায়। সেখানে ওই সাংবাদিকের শেখানো মতে আমি দারোগা শাহ আলী নৌকা থেকে পা পিছলে পরে গিয়ে আহত হবার মিথ্যা সাক্ষ্য দেই।
এরআগে এসআই শাহ আলীকে হত্যা চেষ্টায় হামলাকারী স্থানীয় যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপু ও ওসি নুর আলমের গোপন ফোনালাপ ফাঁস হলে প্রশাসন ও স্থানীয় পর্যায়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এর পরদিনই ওসি নুর আলমকে ক্লোজড করে সিলেট ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।