দিরাইয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রীর আগমন সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি আজ রোববার সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আসছেন। সূত্র জানায়, রোববার বেলা ৩টায় দিরাই পৌর শহরের থানা পয়েন্টে দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রয়াত আছাব উদ্দিন সরদারের শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন তিনি। পরিকল্পনা মন্ত্রীর আগমন ঘিরে প্রত্যাশার জাল বুনছে দিরাইয়ের সাধারণ মানুষ। অবহেলিত এই জনপদের মানুষ মনে করছে মন্ত্রীর এই সফর পিছিয়ে পরা এ এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শিক্ষক, সংস্কৃতি কর্মী, ব্যবসায়ী, ছাত্রসহ হাওর জনপদের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে কথা বললে তাঁরা বলেন, স্বাধীনতার অর্ধশতক পেরিয়েছে। টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাসীন। এ সরকারের আমলে দেশে বিভিন্ন খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তবে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি দিরাইয়ে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগে পিছিয়ে দিরাই। উপজেলা সদরের সাথে ইউনিয়নগুলোর আজো গড়ে উঠেনি সড়ক যোগাযোগ। কালনী নদীর উপর ব্রীজ নির্মিত হলেও কয়েক বছরে নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক। দিরাই শাল্লা সড়ক, পাথারিয়া বাংলাবাজার সড়কসহ অবকাঠামোগত দৃশ্যমান উন্নয়ন নেই।
দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়া বলেন, দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা মরহুম আছাব উদ্দিন সরদারের শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে দিরাইয়ে আসছেন হাওরবেস্টিত জেলা সুনামগঞ্জের উন্নয়নের বরপুত্র মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। শোকসভা সফল করতে সবধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। অবহেলিত দিরাইবাসী উনার আগমন ঘিরে উৎফুল্ল। ভাটির জনপদের সাধারণ মানুষের দাবি দাওয়া আশা আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্নগুলো মন্ত্রী মহোদয়ের সামনে তুলে ধরা হবে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাওর জনপদের উন্নয়নে আন্তরিক। পরিকল্পনা মন্ত্রীর হাত ধরে সুনামগঞ্জ জুড়ে এখন উন্নয়নের জয়জয়কার।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও দিরাই উপজেলার চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী বলেন, হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে পরিকল্পিত উন্নয়ন, আন্ত উপজেলা সড়ক যোগাযোগ স্থাপন, অপরিকল্পিত বেড়িবাঁধ নির্মাণ বন্ধ, নদী খনন, দিরাই শাল্লা সড়ক নির্মাণ, বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব দূরীকরণে পর্যাপ্ত টিউবওয়েল স্থাপন, উপজেলার জারলিয়া নদীর মুখে বাঁধ নির্মাণ, মৎস্যজীবিদের জন্য মৌসুম ভিত্তিক প্রণোদনা চালু, পাথারিয়া – বাংলাবাজার সড়ক নির্মাণ ও কালনী ব্রীজ হতে উপজেলার পুর্ব এলাকার সাথে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনসহ সাধারণ মানুষের কাঙ্খিত আরও কিছু দাবী পরিকল্পনা মন্ত্রী মহোদয়ের সামনে উপস্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, কৃষি নির্ভর এ অঞ্চলের মানুষ বছরে ৭ মাস বেকার থাকেন। এখানে বিকল্প কর্মসংসস্থান করা গেলে ঘুরে দাঁড়াবে এতদঅঞ্চলের অর্থনীতির চাকা। হাওরবাসীর স্বপ্ন পূরণে মন্ত্রী মহোদয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি দাওয়া তুলে ধরব আমরা।