সুনামগঞ্জ জেলায় এবছর সর্বোচ্চ সংখ্যক পূজা হবে দিরাইয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
সুনামগঞ্জ জেলায় এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে দিরাই উপজেলায়। উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৯ টি ইউনিয়নে মোট ৬৩ টি মন্দির ও মণ্ডপে হচ্ছে এবার দেবী দুর্গার অর্চনা। মঙ্গলবার (৫অক্টোবর) দুপুর ১টায় দিরাই উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান পিপিএম, র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার সিঞ্চন আহমদ, দিরাই উপজেলার চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আলতাব উদ্দিন, দিরাই পৌরসভার মেয়র বিশ্বজিৎ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিপা সিনহা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অভিরাম তালুকদার, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুরঞ্জন দাস, সাধারণ সম্পাদক ধনীর রঞ্জন রায়, উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রধান শিক্ষক জাফর ইকবাল, সব্যসাচী দাস চয়ন, ইউপি চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকগণ।
সভায় পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা পূজা চলাকালে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, দিরাই পৌর শহরের বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন ও হারানপুর অটোরিকশা স্যান্ড স্থানান্তর, বখাটে ও মাদক সেবীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান, শহরে যানবাহন চলাচল সীমিতকরণের আহবান জানান।
সভায় জানানো হয়, এবছর দিরাইয়ে মোট ৬৩ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা মন্ডপ গুলোতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্ডপে মন্ডপে অঞ্জলি প্রদান ও প্রতিমা দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে দুর্গাপূজা আয়োজনের লক্ষ্যে সব রকমের প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এই লক্ষ্যে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি বলেন, দিরাইয়ের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাস গৌরবোজ্জ্বল। প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীরা যাতে স্ব স্ব ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে সেজন্য সহযোগিতা করতে হবে। আসন্ন দুর্গা পূজা চলাকালে আজান ও নামাজের সময়টাতে পূজা মণ্ডপে মাইক ও ঢোল ব্যবহারে বিরতি দিতে পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের প্রতি আহবান জানান জেলা প্রশাসক।