জননেতা আব্দুস শহীদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া ও আলোচনা
নিজস্ব প্রতিবেদক :: দিরাই উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মরহুম আব্দুস শহীদ চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও দিরাই উপজেলা বিএনপি নেতা মরহুম আরজান খানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার বিকেলে আব্দুস শহীদ চৌধুরীর বাসভবনে দোয়া মাহফিল পুর্ব আলোচনায় শহীদ চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবনী নিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য হুমায়ুন কবির তালুকদারের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, দিরাই পৌর বিএনপি সভাপতি ও সাবেক মেয়র হাজী আহমদ মিয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল কাইয়ুম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ময়না মিয়া, বিএনপি নেতা রশিদ আহমদ চৌধুরী বাচ্চু মিয়া, শুয়েব হাসান, মানিক তালুকদার, যুবদল নেতা লিপন হাসান চৌধুরী, মহিউদ্দিন মিলাদ, পৌর কাউন্সিলর জুয়েল তালুকদার সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও স্বজনরা। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আজিজুর রহমান চান্দিপুরী। দোয়া মাহফিলে দিরাই উপজেলার শতাধিক মসজিদের ইমামগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালে স্ট্রোক জনিত কারণে ৭৫ বছর বয়সে মারা যান জননেতা আব্দুস শহীদ চৌধুরী।সাদা মনের মানুষ, নিরহঙ্কার এবং পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি সর্বমহলে স্বীকৃত। মানুষকে মনে-প্রাণে ভালোবাসতেন, সহজে করতে পারতেন আপন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের ভিপি, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, দিরাই উপজেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক এবং দিরাই – শাল্লা উপজেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালন করেছেন। পরবর্তীতে তিনি, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতিসহ দিরাই উপজেলা বিএনপির বারবার সভাপতি নির্বাচীত হন। তিনি সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা এবং একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন প্রাপ্ত অ্যাডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল-এর পিতা।