প্রবাসীরা আমাদের কৃতি সন্তান – সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা
নিজস্ব প্রতিবেদক :: প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেমন ঘটেছে, তেমনি বেঁচে আছে তাঁদের ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ পরিবার। প্রবাসীরা ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা কাজ করেন। আমাদের দিরাইয়ের প্রবাসীরা তাঁদের রক্ত ঘামে অর্জিত অর্থ এলাকার হতদরিদ্র মানুষের কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে ব্যয় করছেন। একমাত্র প্রবাসীরাই প্রতিদানের আশা না করে পরোপকার করে থাকেন। তাই কৃতি সন্তানের উপাধি তাদেরই মানায়। প্রবাসীরা আসল হিরো, তাঁরাই আমাদের কৃতি সন্তান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দিরাই পৌর শহরের ‘দিরাই শাল্লা কালচারাল এন্ড ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকে’র কার্যালয়ে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সমাপনী ব্যাচের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
দীর্ঘ ২বছরের অধিক সময়ব্যাপী ৮ টি ব্যাচে ৭ শতাধিক প্রশিক্ষনার্থীকে দিরাই শাল্লা কালচারাল এন্ড ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকে’র পৃষ্ঠপোষকতায় সম্পুর্ণ বিনামুল্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। আর্থসামাজিক মানোন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি অব্যাহত রাখায় দিরাই শাল্লা কালচারাল এন্ড ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান বক্তারা।
আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, দিরাই সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক লালবাঁশি দাস, দৈনিক মানবজমিনের দিরাই প্রতিনিধি মোশাহিদ আহমদ, যুব নেতা সুমন শহীদ, প্রভাষক মিজানুর রহমান পারভেজ, প্রশিক্ষক রতন সূত্রধর, প্রশিক্ষণার্থী সুব্রত দাস, জিনাত আরা। উপস্থিত ছিলেন, জুবায়ের খান, রবিনুর চৌধুরী, প্রশিক্ষক জলি রানী দাস, শিপা বেগম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, দিরাই শাল্লার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ২০১১ সালে দিরাই শাল্লা কালচারাল এন্ড ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকে যাত্রা শুরু করে। ২০১২ সালে ৭ লক্ষ টাকার শীতবস্ত্র বিতরণ, ২০১৩ সালে দিরাই শাল্লার বিভিন্ন স্থানে ১২ টি টিউবওয়েল স্থাপন, ২০১৪ সালে গুণিজন সংবর্ধনা, ২০১৫ সালে ৩৫ জন কন্যাদায়গ্রস্থ পিতাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান, ২০১৭ সালে ৮৫ জন বেকার মহিলাকে সেলাই মেশিন প্রদান, ২০১৮ সালে বন্যায় ফসল হারানো কৃষকদের মধ্যে ২০০ বস্তা চাল বিতরণ সহ সংগঠনের অর্থায়নে ৭০০ অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীকে সম্পুর্ন বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।