রাজানগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দ্বিমুখী লড়াইয়ের আভাস
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আগামী রোববার দিরাই উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ করা হবে। শুক্রবার প্রচারের শেষ দিন।
দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নওশেরান চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম জুয়েল, নুরুল আমিন, রানা মিয়া ও রুনু সর্দার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটারদের মতে, নওশেরান ও জুয়েলের মধ্যে মূল লড়াই হবে। তবে এনিয়ে পাঁচবার এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থাকার কারণে নওশেরান এগিয়ে রয়েছেন।
ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজানগর ইউনিয়নে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন নৌকার প্রার্থী সফিক। প্রচার-প্রচারণায় সরগরম থাকলেও ভোটের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে তিনি।
জানা যায়, এরআগে চারবার রাজানগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইউনিয়নের গচিয়া গ্রামের বাসিন্দা নওশেরান চৌধুরী। প্রতিবারই প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুললেও বৈতরণি পার হতে পারেননি। এবার পঞ্চম বারের মতো ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। এজন্য তাঁর প্রতি ভোটারদের সহমর্মিতা রয়েছে।
নওশেরান চৌধুরী বলেন, ইনশাআল্লাহ এবার ইউনিয়নবাসী আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। প্রতিনিয়ত মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে চলেছি। ভোটাররা আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন। এবছর তাঁরা আমার ঘোড়া প্রতীকে ভোট দেবেন। জয়ে ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী।
অপরদিকে এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বি জহিরুল ইসলাম জুয়েল শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত জুয়েল এবছর জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তরুণ প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের কাছে তারও ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। নওশেরান – জুয়েলের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এমন আলোচনা ইউনিয়ন জুড়ে দেখা গেছে।
এছাড়া স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন, রানা মিয়া ও রুনু সর্দার ভোটারদের আকৃষ্ট করতে শেষ মুহুর্তে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।