
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে ক্রমশ ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে। প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও নিহতের সংখ্যা। সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ থাকা মার্কেট দোকানপাট সরকারি নির্দেশনায় গত ১০ মে থেকে আবারও খুলে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শপিং মল, মার্কেটসহ সকল প্রকার দোকানপাট খোলা রাখার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সরকারি নির্দেশনায় বলা হলেও সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে এটি মানছেন না কেউ। দিরাই পৌর সদরসহ উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের ১৬ টি হাট-বাজারে ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। উপজেলায় এপর্যন্ত ৪ স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দোকান খোলা রাখায় সংক্রমণের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। বুধবার দিরাই বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চা দোকান ও খাবার হোটেল ব্যতিত সবধরনের দোকানপাট খোলা রয়েছে। বেশ কিছুদিন দোকান বন্ধ থাকায় ও ঈদকে সামনে রেখে কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের বেশ ভিড়। সেন মার্কেট, বশির প্লাজা, জালাল সিটি সেন্টারসহ মধ্যবাজারের কাপড়ের দোকানে দোকানে ক্রেতারা গা ঘেঁষে জটলা করে কাপড় ও পণ্য কিনছেন। দোকানে আগত ক্রেতাদের জন্য হাত জীবানুমুক্ত করা ও দোকানে জীবাণুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা ছিল না বেশীরভাগ দোকানে। কিছু দোকানে ব্যবস্থা থাকলেও তা ব্যবহার করতে দেখা যায়নি কাউকে। এছাড়া কাঁচাবাজার, মাছবাজারসহ ওষুধের দোকান কিংবা নিত্যপণ্যের দোকান কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার দৃশ্য চোখে পড়েনি। এসময় একাধিক দোকানির কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা বললেও মানুষ শুনে না। দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়টি স্বীকার করে মহাজন সমিতির সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, স্থানীয় প্রশাসেনের পাশাপাশি আমরাও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এক্ষেত্রে কিছু ব্যবসায়ী সহযোগিতা করছেন না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, উপজেলায় এপর্যন্ত ৬ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন, তাই বুঝতে হবে ভাইরাসটি আমাদের এখানে পৌঁছে গেছে। সাবধানতা সর্তকতা অবলম্বন করা না গেলে বিপদ আসতে সময় লাগবে না। মার্কেট, হাট-বাজারে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা না গেলে সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফি উল্লাহ বলেন, যেহেতু হাট-বাজার খোলা, তাই লোক সমাগত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। জনসচেতনতা বাড়াতে উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। দোকান মালিক সমিতির নেতা, ইজারাদার ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্যাম্পেইন অব্যাহত আছে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।