বন্যার্ত গ্রামবাসীর জন্য ‘চন্ডিপুর সাপোর্ট গ্রুপের অনন্য উদ্যোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক ::গত ১৭ ও ১৮ জুন। শুক্র ও শনিবার। টানা বর্ষণ, বজ্রপাতের মধ্যে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বিহীন সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলা। দিরাই পৌর এলাকার প্রায় শতভাগ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ভুতুড়ে পরিবেশ চারিদিকে। স্বজন স্বজনের খোঁজ নিতে পারছে না। কারো সাথে কারো যোগাযোগ নেই। শুক্রবার দুপুর থেকেই পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। মাত্র কয়েক ঘন্টায় পানি বেড়ে ডুবতে থাকে রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি। প্রবল স্রোত ভেঙে নিয়ে যায় বিভিন্ন সড়ক মহাসড়ক। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসায় আশ্রয় নেয় শতশত পরিবার। এ যেন গা শিউরে ওঠার মতো অবস্থা।
দিরাই পৌরসভার চন্ডিপুর গ্রামের তিন শতাধিক মানুষ আশ্রয় নেয় গ্রামের মাদ্রাসা ও প্রাইমারি স্কুলে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও দেশবিদেশের স্বজনরা গণমাধ্যমে দিরাইয়ে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার বিষয়টি জানতে পারেন। প্রিয় গ্রামের মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাজ্যে গঠন করা হয় ‘চন্ডিপুর সাপোর্ট গ্রুপ’। গ্রুপের সদস্য শফিকুল ইসলাম, বিপ্লব হাওলাদার (ঢাকা), সাবরু মিয়া, আমির উদ্দিন, হারুনুর রশীদ, আজমল হোসেইন, মামুন সাদেক, আফতাবুর রহমান, মোহাম্মদ শফিকুল, মো. সলিম উল্লাহ, লিটন মিয়া, শহিদুল ইসলাম নজরুল, মাসুক আহমদ সরদার, সাইফুর রহমান, তপু আহমদ, অহিদ উদ্দিন, মাসুম সরদার, শিহাব উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান, মামুন মিয়া, সাদ আহমদ, শহিদ মিয়া, সাইফুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম সর্দার, সাইদুর রহমান রেনু, আতাউর রহমান কুটি, শহিদুল ইসলাম সাগর, হাবিবুর রহমান হবু, মিশু আহমদের অর্থায়নে বানভাসি ওই তিন শতাধিক মানুষকে রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। গত ২০ জুন থেকে অব্যাহত এ মানবিক উদ্যোগ চলবে আশ্রয় কেন্দ্রে সর্বশেষ মানুষটি থাকা পর্যন্ত। চন্ডিপুর সাপোর্ট গ্রুপের এই কার্যক্রম বন্যার্ত মানুষের মনে যেমন আশার সঞ্চার করেছে তেমনি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ।
গ্রুপের এডমিন প্যানেলের সদস্য, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম বলেন, এই আপদকালীন সময়ে গ্রামের লোকদের পাশে দাঁড়াতে গ্রুপের আত্মপ্রকাশ হলেও ভবিষ্যতে গ্রাম ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবে চন্ডিপুর সাপোর্ট গ্রুপ।
ছবি: হাফিজ আরিফুল ইসলাম তানভীর।