জাতীয়সারাদেশ

দিরাইয়ে যাত্রী সেজে ভাড়ায় চালিত বাইক ছিনতাই, পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক :: কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪৫)। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের প্রবাস ফেরত মামুন নিজের মোটরসাইকেল দিয়ে চুক্তিতে যাত্রী বহন করেন।
এভাবে ভালোই চলছিল। কিন্তু কে জানতো, চুক্তিতে যাত্রী বহন করতে গিয়ে তার উপার্জনের অবলম্বন প্রিয় বাইকটি প্রায় খোয়াতে বসেছিলেন।
গত ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে সুনামগঞ্জ আব্দুজ জহুর সেতু সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীর অপেক্ষা করছিলেন মামুন। এই সময় দুই যাত্রী এসে ভাড়ায় দিরাই উপজেলার ধলুয়া গ্রামে যেতে চাইলে মামুন রাজী হন। দুজনকে বাইকে ছড়িয়ে দিরাইয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে দিরাই থানাধীন রফিনগর ইউনিয়নের মেঘনা গ্রাম সংলগ্ন কালিয়াগুটা হাওরে পৌঁছলে যাত্রীবেশী ছিনতাইকারী প্রস্রাবের বাহানায় মোটরসাইকেলটি থামায়। সেখানে আরও দু’জন ব্যক্তিকে দেখা যায়। মুহুর্তেই চারজন মিলে মামুনকে আক্রমন করে। বুঝতে পারেন এরা সকলেই ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। ছিনতাইকারীরা ধারালো চাকু মামুনের গলায় ধরে চাবি ছিনিয়ে নেয়। তাকে লাতি দিয়ে জমিতে ফেলে রেখে মোটরবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। শীতের রাতে নির্জন হাওরে কাদামাটি গায়ে বিলাপ করছিলেন তিনি। কিছুক্ষণ পর এ সড়ক দিয়ে দুইটি মোটরসাইকেলে করে দিরাই থানা পুলিশ পার্শ্ববর্তী এলাকায় অভিযান শেষ করে ফিরছিলেন। ভাগ্যক্রমে দিরাই থানা পুলিশকে পেয়ে বিস্তারিত ঘটনা জানায় মামুন। তৎক্ষনাৎ মামুনকে নিয়ে বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার রাজানগর বাজারের পাশের সড়ক থেকে ছিনতাই হওয়া মোটর সাইকেলসহ আনজব আলী ওরফে আনজু মিয়া নামে ছিনতাইকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্যরা পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তার আনজু মিয়া (৪২) রাজানগর গ্রামের মৃত আজমান আলীর ছেলে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান৷ তিনি বলেন, ধৃত আনজু মিয়া একজন পেশাদার অপরাধী। তার বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলায় দুইটি ডাকাতি ও একটি ধর্ষণের মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় চালক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। জড়িত আনজু মিয়ার সহযোগীদের গ্রেপ্তার ও মোটরসাইকেল চোর চক্রের সন্ধানে কাজ করছে পুলিশ।

Related Articles

Back to top button
Share via
Copy link
Powered by Social Snap