দিরাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ফারদিন আহমেদ (১৪) নামে এক স্কুলছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
গতকাল (রোববার ৩০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ধল আশ্রম গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। নিহত ফারদিন ধল আশ্রম গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর পরিবার ও গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত ফারদিন আহমেদ পাশ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের আলাগদি গ্রামে তার ফুফুর বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতো। সেখানকার পাইলগাঁও বিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। রমজান ও ঈদুল ফিতরের ছুটি কাটাতে নিজের বাড়িতে আসে।
স্থানীয়রা জানান, ছুটি শেষ হওয়ায় ক্লাসে ফিরতে ফারদিনের মা তাগাদা দিচ্ছিলেন। তবে ফারদিন রাজী হচ্ছিল না। রোববার ক্লাস শুরু হওয়ায় ফারদিনকে তার মা কিছুটা বকাঝকা করেন। বাড়ির সবাই ধান শুকানোর খলায় কাজে চলে গেলে বসত ঘরের সামনের বাংলো ঘরে রশি দিয়ে ঘরের তীরের সঙ্গে ফাঁস দেয় সে। কিছুক্ষণ পর ফারদিনকে খোঁজে তার মা বাড়ি এসে বাংলো ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। এ সময় পরিবারের লোকেরা দরজা খুলে ফারদিনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে নামিয়ে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে নিহত স্কুলছাত্রের পিতা গোলাম রব্বানী বিদ্যালয়ে যাবার জন্য বকাঝকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার ছেলের মাথা ঠিক ছিল না। সে কোন কারণে আত্মহত্যা করেছে আমাদের জানা নেই।
তাড়ল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আহমদ ও দিরাই থানার ওসি (তদন্ত) আকরাম হোসেন গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।