বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি রোধে দিরাইয়ে কর্মশালা
নিজস্ব প্রতিবেদক : সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি রোধে জনসচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) বেলা ১১ টায় দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশিক্ষণ ভবনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ও বর্নমালা কমিউনিকেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি রোধ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন, দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. ইয়াসিন আরাফাত। বর্ণমালা কমিউনিকেশনের ওয়ার্কশপ অর্গানাইজার কাজী সোহেল আহমদ ও তপু মাহমুদ এর যৌথ পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. প্রশান্ত কুমার দাস, মুহতামিম মাওলানা নুরুদ্দিন, মাওলানা শরীফ উদ্দিন, ইমাম ইদ্রিস আলী, মাওলানা আমিরুল ইসলাম, দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী ওয়াহিদ মিয়া, এইচ আই ইনচার্জ নবেন্দু চৌধুরী, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ইপিআই আবুল কালাম, নার্সিং সুপারভাইজার রেবা রানী দাস, সেনেটারী ইন্সপেক্টর আফজাল আহমদ প্রমুখ। কর্মশালায় বলা হয়, এপ্রিল থেকে জুন মাসে বজ্রবৃষ্টি বেশি হয়ে থাকে। বজ্রবৃষ্টি সাধারণত ৩০-৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। বজ্রপাতের সময় ঘরে অবস্থান করা। প্রয়োজনে রাবারের জুতা ব্যবহার করে বাইরে যাওয়া। উঁচু জায়গায় অবস্থান না করা। খোলাস্থানে থাকলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দুরত্বে এবং পায়ের আঙ্গুলের ওপর ভর দিয়ে কানে আঙ্গুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকা। উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার বা ধাতব খুঁটি, মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা। ঘরের জানালার কাছাকাছি ও বারান্দায় অবস্থান না করা। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহারে বিরত ও বন্ধ রাখা। প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করা। ধাতব কল, সিড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ না করার মধ্য দিয়ে বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা সম্ভব।