নিজস্ব প্রতিবেদক : সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমিনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর সদরের চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা, গণমুক্তি জোটের কেন্দ্রীয় নেতা রশিদ মিয়া। তিনি বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত ৬ জুলাই মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই শেষে রশিদ মিয়ার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। দিরাই পৌরসভার বিগত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন রশিদ মিয়া। প্রবাস ফেরত যুবক রশিদ মিয়া দিরাইয়ে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সাথে জড়িত আছেন। বর্তমানে তিনি গণমুক্তি জোটের কেন্দ্রীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত।
রশিদ মিয়া বলেন, দলের সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। তরুণদের হাত ধরে নতুন ধারার রাজনীতির বিকাশ ঘটবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে রশিদ মিয়া বলেন, বাংলাদেশের বানিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। পুরো শহর ঘুরেছি। দেখেছি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন একটি শহর চট্টগ্রাম। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার ফেস্টুন, পোস্টার দেয়ালে লাগানো হবে না। ঝুলন্ত পোস্টার, ব্যানার ও হ্যান্ড লিফলেট দ্বারা নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা করা হবে। প্রচারণার জন্য প্রয়োজনে মিডিয়ার সহযোগিতা নেয়া হবে। এককথায়, নগরীর পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে যা করা লাগে তাই করবো। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে রশিদ মিয়া বলেন, মানুষ ও পরিবেশের ক্ষতি হবে সেই প্রচারনা করে ভোটারের ভোট চাইনা।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা অন্য প্রার্থীরা হলেন—আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী দীপক কুমার পালিত।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮ নং শুলকবহর, ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী, ১২ নং সরাইপাড়া, ১৩ নং পাহাড়তলী, ১৪ নং লালখান বাজার, ২৪ নং উত্তর আগ্রাবাদ, ২৫ নং রামপুর ও ২৬ নং উত্তর হালিশহর ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসন গঠিত।
এই আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমিন গত ২ জুন মারা যাওয়ার পর ৩ জুলাই উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
৩০ জুলাই এই আসনে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।