জাতীয়সারাদেশ

দিরাইয়ে দু’পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে ১জন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক : সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের পুকিডহর গ্রামে দু’পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুলাল মিয়া নামের একজন খুন হয়েছেন। বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পুকিডহর গ্রামের প্রবাসী আরজু খান ও হোসেন খান সাজুর লোকজনের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুলাল মিয়া (৫০) পুকিডহর গ্রামের মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে। তিনি প্রবাসী আরজু খানের পক্ষের লোক ছিলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্ততঃ ১০ জন। গুরুতর আহত পুকিডহর গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে গুল আহমেদ (৪৫), আব্দুল মনাফের ছেলে রুপ উদ্দিন (৪২) এবং গুল আহমেদের ছেলে মিলাদ খান (২০)-কে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন দিরাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, পুকিডহর গ্রামে প্রবাসী আরজু খানের দুইটি বাড়ি ও দিরাই পৌর শহরে একটি বাসা তারই চাচাতো ভাই হোসেন খান সাজু গং দখল করে রাখাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। প্রবাসী আরজু খানের পক্ষের মামলায় সাক্ষী হওয়া ও গণমাধ্যমে আরজু খানের পক্ষে কথা বলায় নিহত দুলাল মিয়ার প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল হোসেন খান সাজু। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় দু’পক্ষ প্রথমে কথা-কাটাকাটি ও পরে এরই জের ধরে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে দুলাল মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান।

জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশীদ লাভলু বলেন, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। দুলাল মিয়াকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। তার শরীরে গুলিবিদ্ধের চিহ্ন দেখা গেছে। জানতে পেরেছি দু’পক্ষই সংঘর্ষে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে। চেয়ারম্যান বলেন, আরজু খান ও হোসেন খান চাচাতো ভাই। তাদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। মিমাংসার জন্য বহু চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিনি। কারণ সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। এখানে এলাকায় যারা আছে তাদের কিছুই করার থাকে না।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে। নিহত দুলাল মিয়ার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Related Articles

Back to top button
Share via
Copy link
Powered by Social Snap