দিরাই বাস-স্টেশনকে যানজটমুক্ত করার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক : দিরাই বাস-স্টেশনকে যানজটমুক্ত ও স্থানান্তরের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে দিরাই থানাপয়েন্টের জালাল সিটি সেন্টারে দিরাই বাস-স্টেশন স্থানান্তর বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য সচিব মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার।
কমিটির আহ্বায়ক আবুল কাশেম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির উপদেষ্টা মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা আমিন উদ্দিন, মোঃ মুজিবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আশরাফ আলী, কোষাধ্যক্ষ মাওলানা ইয়াহইয়া বিন হাবিব, সদস্য মুহিবুর রহমান ওদুদ, মোঃ আমিরুল ইসলাম বাপ্পু, মোঃ আবিদুর রহমান, মোঃ সাইফুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দিরাই বাস-স্টেশনটির অবস্থান দিরাই পৌরসভায় হওয়ায় এটিকে যানজটমুক্ত ও স্থানান্তরের বিষয়ে দিরাই পৌরসভা কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারেন না। এ বাসস্টেশনটি ব্যবহার করে সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি উপজেলার সাধারণ মানুষের সুনামগঞ্জ ও সিলেটে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক পথের রাস্তা। সঙ্গত কারণেই এই বাসস্টেশনটি সব সময়ই জন ও যানবাহনে পরিপূর্ণ থাকে। তাছাড়া দূরপাল্লার ঢাকাগামি বাসগুলোর পৃথক রাখার কোন জায়গা না থাকায় সড়কের উপর দিনের বেলায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে আঞ্চলিক বাস, ট্রাক-ট্রলি, পিকআপ, লাইটেস-কার, লেগুণা-ফোরস্টোক (সিএনজি), ব্যাটারি চালিত অটো ও রিকসাসহ প্রচুর পরিমাণে যানবাহন চলাচল করায় ছোট্ট এই রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যামের সৃষ্টি হয়। কখনও ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই জ্যামের ব্যাপ্তি ঘটে। এ কারণে সাধারণ মানুষ, যাতায়াতকারী লোকজন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রীরা বড় ধরণের বিপাকে পড়েন। বিশেষ করে দিরাই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া রোগীরা এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে যাওয়ার সময়ও যানজটে আটকে থাকেন। এই সমস্যায় ভূক্তভোগী নেই এমন মানুষ সম্ভবত দিরাইয়ে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এ থেকে উত্তরণের জন্য আপামর জনসাধারণের দাবি থাকলেও জোরালো কোন ভূমিকা এখন পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়নি।
জানা যায়, গত ২৪ অক্টোবর ‘দিরাই বাসস্টেশন স্থানান্তর বাস্তবায়ন কমিটি’ নামে একটি সংগঠনের পথ চলা শুরু হয়। ২১ সদস্য বিশিষ্ট এই সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একটাই, দিরাই বাসস্টেশনকে যানজটমুক্ত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ইতিমধ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে দিরাই পৌরসভার মেয়র বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া এই স্মারকলিপির অনুলিপি দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম বাজার হিসেবে দিরাইয়ের সুনাম অতি প্রাচীন। অতি পুরাতন থানা বা উপজেলা হিসেবেও দিরাই ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। থানা থেকে উপজেলায় পরিণত হওয়া দিরাই নানা কারণে বিভিন্ন দিক দিয়ে বিমাতা সূলভ আচরণের শিকার। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু হওয়া দিরাই পৌরসভা আজও কাক্সিক্ষত একটি পৌরসভায় রূপান্তরিত হতে পারেনি। তবে আশার কথা হচ্ছে, ‘সি’ গ্রেড থেকে উন্নীত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ গ্রেডে থাকা দিরাই পৌরসভার উন্নয়ন কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কমিটির নেতৃবৃন্দ।