সারাদেশ

দিরাইয়ে বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু, শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বজ্রপাতে মালেক নুর (৪৫) ও আব্দুন নুর (৪০) নামে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার কালিয়াকুটা হাওরের পুর্ব অংশে ২শ হেক্টর বোরো জমি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে  উপজেলার মধুরাপুর ও রসুলপুর গ্রামের পাশের হাওরে পৃথক বজ্রপাতে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। মৃত মালেক নুর দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর গ্রামের মৃত উকিল আলীর ছেলে ও আব্দুন নুর কুলঞ্জ ইউনিয়নের রসুল পুর গ্রামের বাসিন্দা। জানা যায়, চার সন্তানের জনক মালেক নুর হাওরে পাকা ধান মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। মাগরিবের নামাজের পর হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বিকট শব্দে বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতের আঘাতে মালেক নুর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎক মালেক নুরকে মৃত ঘোষণা করেন। একই সময়ে কুলঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আব্দুন নুর হাওর থেকে বাড়িতে ফেরার পথে বজ্রপাতের কবলে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন। এদিকে একই সময়ে উপজেলার কালিয়াকুটা হাওরের পুর্ব অংশে বড় কাইমা বিল, খেজাউড়া বন্দের প্রায় ২শ হেক্টর বোরো জমির পাকা ধান শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে রাজানগর ইউনিয়নের কাইমা, মধুপুর, বেগমপুর, আনোয়ারপুর, খেজাউড়া, গচিয়া গ্রামের কয়েকশ কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনোরঞ্জন অধিকারী বলেন, কালিয়াকুটা হাওরের পুর্ব অংশে প্রায় ২০০ হেক্টর বোরো জমিতে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে ৭০ শতাংশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অর্থাৎ বলা যায় ১৪০ হেক্টর জমি সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় ৬২৩ মেট্রিকটন চাল বা ২কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা এখনো করা হয়নি। তবে সরজমিন পরিদর্শন করে ধারণা করছি এই সংখ্যা ৭/৮ শ হতে পারে। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। 

Related Articles

Back to top button
Share via
Copy link
Powered by Social Snap