সারাদেশ

দিরাইয়ে জমি কিনে ৯ বছরেও দলিল পাননি স্পেন প্রবাসী দবিরুল ইসলাম 

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের উত্তর নাগেরগাঁও মৌজায় ২০ শতাংশ ৫শ বর্গলিংক জমি ক্রয় করার ৯ বছর অতিবাহিত হলেও দলিল বুঝে পাননি স্পেন প্রবাসী দবিরুল ইসলাম। উল্টো দখলীয় জমি থেকে উচ্ছেদের জন্য আদালতে মামলা দিয়েছেন জমির বিক্রেতা। বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট তহশীলদারকে দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত। করিমপুর ইউনিয়নের ছাদিরপুর গ্রামের বাসিন্দা স্পেন প্রবাসী দবিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০১৫ ইং সনে তার বাড়ি সংলগ্ন ২০ শতাংশ ৫শ বর্গলিংক জমি ৬ লাখ টাকায় ক্রয় করেন। জমির বিক্রেতা পার্শ্ববর্তী শান্তিগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মর্তুজ আলী গংদের ৩ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে বায়নাপত্র সম্পাদন করেন। বাকি টাকা দলিল সম্পাদনকালে দেয়ার কথা ছিল। রেজিস্ট্রি করতে গেলে জমির কাগজ-পত্রের জটিলতায় আটকে যায়। বিক্রেতা মর্তুজ আলী গং কাগজপত্র সংশোধন করে পরবর্তীতে দলিল করে দেয়ার আশ্বাস দেন। ৩/৪ বছর অতিবাহিত হবার পর রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানান ওই প্রবাসী। শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুর হোসেনসহ দুই উপজেলার সালিসি ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে একাধিক পঞ্চায়েত হয়। বিক্রেতা পক্ষ কয়েকবার সময় নিয়েও দলিল সম্পাদন করে দেয়নি। পরে বিক্রেতারা জমির দখল প্রবাসীকে বুঝিয়ে দিলে মাটি ভরাট ও দেয়াল নির্মাণ করেন তিনি। দবিরুল ইসলাম বলেন, মর্তুজ আলীর ছেলে হীরণ পাশা ও ভাই আব্দুল ওয়াদুদ গং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আমাকে ওই জমি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছে এবং জমি অন্যত্র বিক্রির পাঁয়তারা করছে। আমি ন্যায় বিচারের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। এ বিষয়ে হীরণ পাশা ও আব্দুল ওয়াদুদ জমি বিক্রি করে বায়না ৩ লাখ টাকা নেবার বিষয়টি স্বীকার করলেও দলিল করে না দেয়ার বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজী হননি। সালিশি সুফি মিয়া, তারা মিয়া, আবদাল মিয়া বলেন, দবিরুল ইসলামের কাছে জমি বিক্রি হয়েছে। এটা তারা স্বীকার করেছে। দলিল করে দেবার কথা বলে সালিশিদের কাছ থেকে কয়েকবার সময় নিয়েও তারা দলিল করে দেয়নি। কিছুদিন আগে দলিল সম্পাদনের নিশ্চয়তা দিলে সালিশিদের কথায় দবিরুল ইসলাম স্পেন থেকে দেশে আসেন। এতে তার অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু বিক্রেতাদের সদিচ্ছা না থাকায় দলিল হয়নি।

Related Articles

Back to top button
Share via
Copy link
Powered by Social Snap