
লেখক, সুবর্ণা দাসঃ
কুঁজো হয়ে যাওয়া চিলাই নদীর
কুঞ্চিত ভাঁজে ভাঁজে আবার ফিরে আসুক
যৌবনের সুতীব্র উন্মাদনা!
দুপারে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি কৃষ্ণচূড়া
তাকে অভিবাদন জানাক ঠিক আগের মত!
বরুণের সম্মোহিত রূপে মুগ্ধ হয়ে উড়ে যাক
শিমুল তুলোর ঝাঁক!
বর্ষায় একটানা বর্ষণ হোক,
ছাতার খুব অভাব হোক,
যাতে সবুজায়িত বেশ বড়সড় গোছের
মানকচু পাতাটি মাথায় দিয়ে
অনায়াসে ডিঙানো যায় বৃষ্টি নামক
গল্পের উঠোন। খেক শিয়ালের প্রতাপী ডাকে
তাড়াতাড়ি খালি হয়ে যাক খোকন সোনার
ভাতের থালাটি! আর সেদিকে তাকিয়ে
অপেক্ষারত মায়ের চোখে তৃপ্তির হাসি ফুটোক!
বোশেখী ঝড়ে আম কুড়োবার ধুম পড়ে যাক!
পলিথিন প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাটের শিল্পে
সাজুক বাজারের থলে!
ঘরের কোনায় সিঁকেয় ঝুলুক মুড়ি মুড়কির মটকে!
খেলার মাঠে ধুলো উড়ুক! দাঁড়িয়াবান্দা, বৌচি,
গোল্লাছুটে আবার সরব হোক বাড়ির আঙিনা!
মোবাইলের পরিবর্তে পাঠ্য বইয়ের ভাঁজে
থাকুক নানারকম গল্পের বই।
ঠাকুমার মুখে কিচ্ছা শুনে ঘুমাক না
তার আদরের নাতনীটি!
আবার ফিরে আসুক সেই বসন্ত দিনগুলি!
শুধু জরুরি প্রয়োজনে আমরা আধুনিক হই!
আর পুরোটাই থাক না মা মাটির সাজ!
সরল আবহে মিশে যাই প্রকৃতির অপার মহিমায়!
মা বসুধার চরণধূলি গায়ে মেখে
আমরা আবার হয়ে উঠি মা মাটির মানুষ!
বর্ণ / ঢাকা