জেলায় পাশের হার ও জিপিএ-৫ হ্রাস
নিউজ ডেস্কঃ
জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে সরকারি এসসি বালিকার শিক্ষার্থীরা।
সুনামগঞ্জে একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে সবচেয়ে ভালো করেছে সরকারি সতিশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের ৬২ জন শিক্ষার্থী জিপি-৫ পেয়েছে। সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বুলচান্দ উচ্চ বিদ্যালয়।
জেলায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৭০৪ জন। এরমধ্যে ছেলে ১০ হাজার ৬৫ জন এবং মেয়ে ১৩ হাজার ৬৩৯ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১৭ হাজার ৬৩৮ জন। এরমধ্যে ছেলে ৭ হাজার ৪৪৭ জন এবং মেয়ে ১০ হাজার ১৯১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৪৫ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছেলে ২৮৪ জন এবং মেয়ে ৩৬১ জন। পাশের হার ৭৪.৪১ শতাংশ। এরমধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে (ছেলে) পাশের হার ৭৩.৯৯ শতাংশ এবং মেয়ে ৭৪.৭২ শতাংশ। গতবার ২০২৩ সালে জেলায় পাশের হার ৭৫.৪৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬৫৬ জন শিক্ষার্থী। ২০২২ সালে পাশের হার ছিল ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬৬৮ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমেছে।
এবার শতভাগ পাশ করেছে জেলার ১১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। শতভাগ পাশ প্রতিষ্ঠানের ৯টি জেলার ছাতকে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক দিয়েও এগিয়ে রয়েছে ছাতক উপজেলা। ২৪১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের সবচাইতে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৩১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২২২ জন পাশ করেছে। পাশের ৯৬.১০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫২ জন।
শহরের অন্যতম বিদ্যাপীঠ সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬২ জন শিক্ষার্থী জিপি- ৫ পেয়েছে। পাশের হার ৮৬.৯৪ শতাংশ। ২৪৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২১৩ জন।
এছাড়া সদর উপজেলার আব্দুল আহাদ সাহিদা চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ৪৬.৫৮ শতাংশ। ৭২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪৫ জন। পাশের ৬২.৫০ শতাংশ।
আলহাজ¦ জমিরুন নুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ৬৩.০৪ শতাংশ। ১৩৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৮৭ জন।
অষ্টগ্রাম রাসগোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৬৩ জন। পাশের হার ৭৫.০০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।
বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলে ৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সবাই পাশ করেছে। শতভাগ পাশ। এরা সকলেই ইংলিশ ভার্সনের শিক্ষার্থী। ইংলিশ ভার্সনে জেলার প্রথম এই স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বুলচান্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ১৫.৫২ শতাংশ। ৫৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৯ জন। জিপিএ-৪ পেয়েছে ২ জন, জিপিএ-৩ পেয়েছে ১ জন, জিপিএ-২ পেয়েছে ৫ জন এবং জিপিএ-১ পেয়েছে ১ জন। প্রাচীন এই বিদ্যাপীঠের ফলাফল একেবারেই হতাশাজনক।
চরমহল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ৭৭.৪৬ শতাংশ। ১৪২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১১০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন।
চৌদ্দগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ৭২.২২ শতাংশ। ৭২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৫২ জন।
এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ৭৩.১৫ শতাংশ। ২৫৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১৮৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন শিক্ষার্থী।
হামিদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২৮ জন। পাশের হার ৬৬.৬৭ শতাংশ।
হাজী আব্দুস ছত্তার এন্ড মরিয়ম জুনিয়র স্কুলে পাশের হার ৭৩.২৪ শতাংশ। ৭১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৫২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।
হাজী লাল মামুদ উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ৬৯.১৭ শতাংশ। ১২০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৮৩ জন।
জয়নগর বাজার হাজী গনিবক্স উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ৭৯.০৭ শতাংশ। ১২৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১০২ জন। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ৪ জন।
কৃষ্ণনগর হোসেনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ৭১.৯৩ শতাংশ। ৫৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪১ জন।
লবজান চৌধুরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ৭২.৭৩ শতাংশ। ৬৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।
মঙ্গলকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ৬৪.৮৬ শতাংশ। ১৮৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১২০ জন। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ৩ জন।
নারায়ণতলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ৭৯.১৭ শতাংশ। ৯৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৭৬ জন। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ৪ জন।
রঙ্গারচর হরিনাপাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ৭৩.২০ শতাংশ। ৯৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৭১ জন।
শান্তিগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ৭০.০০ শতাংশ। ৯০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৬৩ জন।
সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পাশের হার ৭২.২৭ শতাংশ। ৩৩৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২৪৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন।
সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ৬৩.৭৯ শতাংশ। ৫৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৩৭ জন।
ইয়াকুব উল্লা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ৬৭.২৮ শতাংশ। ১৬২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১০৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বললেন, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ আমাদের সকলেরই অবহেলা রয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিগুলোও দায়িত্ব পালন করছে না।
সুত্রঃ- সুনামগঞ্জের খবর