সারাদেশ

সদর হাসপাতালের চিকিৎসার মান নিয়ে ক্ষুব্ধ বিভাগীয় কমিশনার 

নিউজ ডেস্কঃ

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে রোগীরা উন্নত চিকিৎসা না পেয়ে দালালের দৌরাত্মে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ সিদ্দিকী। এসময় তিনি শহরের প্রাইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে দালালের দৌরাত্মে বন্ধের জন্য অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে শিক্ষার্থী ও অসহায় ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি। 
তিনি আরও বলেন, অসহায় হতদরিদ্র মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির জন্য সরকারি অনুদান প্রদান করা হয়। অনুদান নেওয়ার পরে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা না নিয়ে সিন্ডিকেট চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছে। এতে চিকিৎসা সেবা নিতে গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। এসব বিষয়ে খোঁজখবর রাখা দরকার। দালালের দৌরাত্ম বন্ধ করতে না পারলে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যাবে না। সিভিল সার্জনকে এসব বিষয়ে অবহিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ডাক্তার, এক্সরে মেশিন ও মেডিকেল সরঞ্জাম, টেকনিশিয়ান সংকট থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। বাধ্য হয়ে দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে রোগীরা যান প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোত। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান উন্নত করতে হবে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে এসব বিষয়ে কথা বলে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান উন্নত করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেন। জেলা প্রশাসন কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে চিকিৎসা সেবার জন্য অনুদান নিতে আসেন আলী হোসেন নামের এক মোয়াজ্জিন। তিনি বলেন, আমার পাকস্থলীতে পাথর ছিল। সেটির অপারেশন করতে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সরকারি অনুদানের টাকায় নবীনগর খন্দকারে আলকাছ এন্ড আমেনা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে ভালো ডাক্তার ও মেডিকেল সরঞ্জাম সহ টেকনিশিয়ান না থাকায় উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় না। 
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম শামীম সহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ। 
অনুষ্ঠানে ৪৩ জনের মধ্যে শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবার জন্য ৩ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।

সুত্র: সুনামগঞ্জের খবর

Related Articles

Back to top button
Share via
Copy link
Powered by Social Snap