শিশু আয়েশা’র বাঁচার আকুতি, বিত্তশালীদের সহযোগিতা কামনা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সিলেটের কালীবাড়ী রোডে ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে বাসা ভাড়া করে চার সন্তান নিয়ে বসবাস রুনা আক্তার ও কামাল মিয়ার পরিবারের। কামাল-রুনা দম্পতির কনিষ্ঠ সন্তান আয়েশা। যে বয়সে হেসেখেলে বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফুটানোর কথা, সেই বয়সেই আয়েশার শরীরে বাসা বেঁধেছে জটিল রোগ। অর্থাভাবে মেয়ের সুচিকিৎসা করাতে ব্যর্থ বাবা-মা হতাশায় ডুকরে কাঁদছেন। জানা যায়, নার্সারি পড়ুয়া শিশু আয়েশা গত আগস্ট মাসের ১৫ তারিখ বিকেলে খেলাধুলা করার সময় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করে। দ্রুত সিলেটের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা।পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পরীক্ষা ডাক্তার জানিয়েছেন, আয়েয়ার হার্টে ছিদ্র দেখা দিয়েছে।
দোয়ারা বাজার উপজেলার কাঠমিস্ত্রী কামাল মিয়া সিলেটে দিনমজুরি করে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বাস করেন। আয়েশার নানার বাড়ি দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে। সংসার চালাতেই হিমশিম অবস্থা দরিদ্র কামালের। মেয়ের অসুস্থতা মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে কামালের জীবনে। কান্নাজড়িত কন্ঠে কামাল মিয়া বলেন, মেয়ের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার দরকার। সে সামর্থ্য আমার নেই। আমার নিস্পাপ মেয়েটির জীবন বাঁচাতে সকলের সহযোগিতা চাই। শিশু আয়েশা বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়ে বলেন, আমি বাঁচাতে চাই। আপনারা আমাকে সাহায্য করুন।
আয়েশার মা রুনা বেগম বলেন, “দরিদ্র পরিবার নিয়ে আমরা অসহায়। ঠিকমত তিনবেলা খাবার যোগাড় হয় না। মেয়ের চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। আমাদের মেয়েকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তশালীদের কাছে সাহায্য চাই।
এদিকে জরুরি ভিত্তিতে আয়েশাকে ঢাকায় হার্ড ফাউন্ডেশনে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ব্যয়বহুল এই চিকিৎসার ভার বহন করার মত আয়েশার পরিবারের সামর্থ্য নেই। এই পরিস্থিতিতে আয়েশার সুচিকিৎসার জন্য সকল হৃদয়বান, দানশীল ব্যক্তির কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করছে আয়েশার পরিবার।
অসুস্থ শিশু আয়েশার চিকিৎসার সাহায্য পাঠাতে সরাসরি যোগাযোগ করুন এই নম্বরে-০১৩২৩৬৮৬২১৩, পাশাপাশি চিকিৎসা সহায়তা পাঠাতে পারবেন- ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, সিলেট শাখা, সঞ্চয়ী হিসাবে-১৫০২০০০২৩৪৬১।